লিটল বাংলাদেশ, লস এঞ্জেলেস এর প্রথম অফিশিয়াল কার্য্যক্রমে অভূতপূর্ব সাড়া।
নভেম্বর 7, 2010 2 টি মন্তব্য
Part 1
Part 2
Little Bangladesh in Los Angeles: Beautification Project 10-6-2010
লিটল বাংলাদেশ লস এঞ্জেলেস এর প্রথম অফিশিয়াল কার্য্যক্রমে অভূতপূর্ব সাড়া।
একুশ রিপোর্টঃ লিটল বাংলাদেশ এর অফিশিয়াল যাত্রা শুরু হয় গত ২০ আগষ্ট, ২০১০। তারপর থেকে স্থানীয় কম্যুনিটির লিটল বাংলাদেশ কমিটিতে জল্পনা-কল্পনা চলছিল কিভাবে নামফলক উম্মোচন অনুষ্ঠানকে জাঁক-জমকভাবে উদযাপন করা যায়। এরি মাঝে লস এঞ্জেলেস সিটি কর্তৃপক্ষ তাদের ঘোষণা অনুযায়ী ১৯ অক্টোবর রাতে কোন এক সময় শহরের নিউহ্যামশায়ার এভিনিউ থেকে ও দক্ষিণ-পূর্ব কোনায় এবং আলেকজান্দ্রিয়া এভিনিউ থেকে ও থার্ড স্ট্রিটের উত্তর পশ্চিম কোনায় দুটি সাইন বোর্ড লাগিয়ে দেয় । অফিশিয়ালভাবে লিটল বাংলাদেশ এর যাত্রা শুরু হয় সাধারনভাবে । আর সেই থেকেই লিটল বাংলাদেশ কমিটির কয়েকজন মেম্বার লিটল বাংলাদেশ অঞ্চলে সৌন্দর্য বৃদ্দ্বির লক্ষ্যে সিটির বিউটিফিকেশন ডিপার্টমেন্টএর সাথে যোগাযোগ করেন। ঠিক সময়মতো যোগাযোগটা শুরু হয়। CRA/LA’র কর্মকর্তারা তখন অন্য একটি অঞ্চলের বিউটিফিকেশন প্রোগ্রামের সাথে লিটল বাংলাদেশএর বিউটিফিকেশন প্রোগ্রামও জুড়ে দেন। বিউটিফিকেশন প্রোগ্রামের সাথে বৃক্ষরোপন শর্ত ও জুড়ে দেন আমাদের কম্যুনিটির প্রতিনিধি। সিটি কর্তৃপক্ষ ট্যাক্টিক্যাল সাপোর্ট দেবার অংগীকার করে এক শর্তে যে, বাংলাদশী কম্যুনিটির সরাসরি অংশগ্রহন করতে হবে। কম্যুনিটিতে পোষ্টারিং শুরু হয়। আর রহস্যজনক ভাবে স্থানীয় দোকানগুলি থেকে পোষ্টার হারাতে থাকে। বিউটিফিকেশন প্রোগাম যাতে সফল না হয় তার জন্য একটি মহল কাজ করা শুরু করে নিরবিচ্ছিন্নভাবে। লিটল বাংলাদেশ বিউটিফিকেশন প্রোগ্রামের একজন মূল সমন্বয়কারী কাজী মশহুরুল হুদা ও কমিটির অন্যান্য মেম্বাররা এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। কমিটির মেম্বার ছাড়াও লিটল বাংলাদেশকে যারা শর্তহীনভাবে ভালোবাসেন তারাও নিজেদের উদ্যোগে জনসংযোগ শুরু করেন। মুজিব সিদ্দিকী সহ মমিনুল হক বাচ্চু, শামীম আহমেদ, ডাঃ হাশেম, ইসমাইল হোসেন, জসীম আশরাফী, ড. শাহ আলম, আনিস আহমেদ, আশরাফ হোসেন, তারেক বাবু, ড্যনী তৈয়ব, শিউলী, আতিক-ফারহানা, নাদের চৌধুরী, জাহান হাসান প্রমুখ এই বিউটিফিকেশন র্যালীতে প্রান আনেন। অনেক নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহনও ছিল লক্ষ্যণীয়। তারই ফলশ্রুতিতে গত ৬ই নভেম্বর শনিবারের সকালে শ্যাটো সেন্টারে অন্যান্য কম্যুনিটিসহ প্রায় ৩০০ জনের বেশী ভলন্টিয়ার জড়ো হয়ে এক অভূতপূর্ব সামাজিক সম্প্রীতির জন্ম দেয়। বাংলাদেশীদের ব্যাপকহারে অংশগ্রহনে স্থানীয় কম্যুনিটির নেতৃবৃন্দ ও সিটি কর্মকর্তারা অভিভূত হয়ে পড়েন। ডা. নাসির আহমেদ অপু লিটল বাংলাদেশ নিয়ে উদ্বোধনী মৌলিক গান করে সবাইকে মুদ্ধ করেন।
যদিও ব্রেকফাষ্টের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিলো, ভলন্টিয়ারদের সেদিকে কোনো খেয়াল ছিলোনা, সবাই উদ্গ্রীব কখন রাস্তায় নামবে নগরী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় অংশ নিতে। রেজিষ্ট্রেশন ও ব্রেকফাষ্টের পরে শ্যাটো সেন্টারের ভিতরে পরিচিত সভায় CRA/LA, UDLA, KVCC, WCBIC, WCKNG সহ লিটল বাংলাদেশ কমিউনিটির সংক্ষিপ্ত পরিচয় ও সম্মাননা দেয়া হয়। লিটল বাংলাদেশ কম্যুনিটির পক্ষে মুজিব সিদ্দিকী স্বাগত বক্তব্য দেন। কাজী মশহুরুল হুদা মাদক, গ্রাফিটির সম্পর্কে আলোকপাত করেন। শামীম আহমেদ কাউন্সিলম্যন টম লাবাঞ্জকে মঞ্চে উপস্থাপন করেন। মমিনুল হক বাচ্চু সবাইকে আসবার জন্য ধন্যবাদ জানান। ইসমাইল হোসেন ও ড্যনী তৈয়ব অনুষ্ঠানের প্রধানদের বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী গামছা উপহার দিতে দিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুসের কথা স্মরন করেন। তারপর শুরু হয় নগরী পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অভিযানমূখে যাত্রা। বাংলাদেশী দল আসেন পুলিশ ও ফায়ার বিগ্রেডের সাথে লিটল বাংলাদেশ এলাকায়। অন্য দল চলে যায় উইলশ্যার ডিষ্ট্রীক্ট অভিমূখে। মূর্হূমূর্হূ বাংলাদেশ বাংলাদেশ ও মাদক ও গ্রাফিটির বিরুদ্বে শ্লোগানে লস এঞ্জেলেসএর লিটল বাংলাদেশ এলাকা প্রকম্পিত হয়ে উঠে। ৩ টি গাছের চারা স্মারক হিসাবে আলেকজান্দ্রিয়া এভিনিউ ও থার্ড স্ট্রিটের কর্ণারে নতুন প্রজন্মদের নিয়ে রোপন করা হয়। সবশেষে শ্যাটো সেন্টারে গিয়ে সার্র্টিফিকেশন অব পার্টিসিপেশন প্রদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। এই উপলক্ষে ফ্রী সাধারন স্বাস্থ্য পরীক্ষার ও ব্যবস্থা করা হয়।
নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থ ভূলে মেইন ষ্ট্রীম অথরিটির সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সময় ও প্ল্যানিংমতো কাজ করলে কম্যুনিটিরই উন্নয়ন ঘটে এটা আরেকবার প্রমান হয়ে গেলো।
Dear Mr.Jahan Hassan,
Excellent work of journalism. Your professionalism will act as milestone for others in the field to get motivated to offer positive news for the good of our community and nations.
We are proud of your great service.
Kind regards,
Majib Siddiquee,
Chairperson, LA
Bangladesh Association of California
213-820-9511
পিংব্যাকঃ প্রবাসী কি করতে পারে? হ্যাঁ, টাকা পাঠায়। তাতে আত্মীয়-স্বজনের উপকার হয়। আত্মীয়রা ব্যবসা-বাণিজ্য খ